ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইকবাল হোসাইনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ নেতা-কর্মী। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় এম ইকবাল হোসাইনের নেতা-কর্মীরা গৌরীপুর শহরে ঘটনাটির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, দুদকের জালে আটকা
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, আবদুর রহমান বাবুল, সালাম, শিপন মিয়া ও মারজু। তারা সবাই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গৌরীপুর উপজেলায় বিএনপি কয়েকটি পক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইকবাল হোসাইন ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন দুজনই সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। দু’জনের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন : গোপালগঞ্জে ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের মরদেহ, স্ত্রী, শ্যালিকা, ভায়রাভাই পলাতক
সোমবার বিকেলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়িযোগে সিধলা ইউনিয়নের বালিয়াপাড়ায় যুবদলের এক নেতার বাড়িতে দাওয়াতে যাচ্ছিলেন এম ইকবাল হোসাইন। উপজেলার বেলতলী এলাকা পর্যন্ত আসতেই প্রতিপক্ষের লোকজন গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর করে। এসময় একটি প্রাইভেটকারসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য মো. সেলিম বলেন, হামলাকারীরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা আহম্মেদ তায়েবুর রহমানের হিরনের অনুসারী।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইকবাল হোসাইন বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমার নেতাকর্মীরাও এখন ক্ষিপ্ত। তাদেরকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জে ট্রাকের চাপায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে স্থানীয় বিরোধে ঘটনাটি ঘটেছে। আমি বা আমার লোকজন এতে জড়িত না।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আবারও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
নিউজ রুম