০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ইঞ্জি: ঠিকাদারের বিরুদ্ধে  দুদকের মামলা

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী  উপজেলার ওড়াকান্দি  ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার  এইচবিবি সড়ক ও  খালের উপর তিনটি ব্রিজ নির্মান কাজ সম্পন্ন না করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । 

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক ও খালের উপর তিনটি ব্রিজ নির্মান কাজ সম্পন্ন না করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

সোমবার ১৩ জানুয়ারি সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো.  সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার নথি পাঠানো হয় বিশেষ জেলা জজ আদালতে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার ১৩ জানুয়ারি সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন

মামলায় আসামীরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারীর প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও মেসার্স হাবীব এন্ড কোং এর স্বত্বাধিকারী ও প্রকল্পের ঠিকাদার হাবিবুর রহমান।

জানা গেছে, ২০১৪ – ১৫ অর্থবছরে কাশিয়ানী  উপজেলার ওড়াকান্দি  ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার  এইচবিবি সড়ক ও  খালের উপর তিনটি ব্রিজ নির্মান কাজ হাতে নেয় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ। প্রতিটি ব্রিজে ১২ মিটার করে সংযোগ সড়ক থাকার কথা থাকলেও ব্রিজটির সংযোগ সড়ক  না করে প্রকল্প থেকে  ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার ।

ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৯ বছর ধরে জনগণ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। মই বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে । গত বছরের ১৭ আগস্ট ধানের বস্তা মাথায় নিয়ে মাইজকান্দি পশ্চিম পাড়া ব্রীজ পার হচ্ছিল স্থানীয় দিনমজুর মুরাদ আলী। এসময় সেতু থেকে পা পিছলে পড়ে যায় তিনি। পড়ে  তিনবার অপারেশন করার পর তার বাম পা কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। তার ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৯ বছর ধরে জনগণ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয় টি আমালে নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা পরিষদ অভিযান চালানো হয়।অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪০৯ /৪২০/১০৯ সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুনঃ গোপালগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে থানা থেকে পালালো আসামী, ২ পুলিশ বরখাস্ত

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন , কিছুদিন আগে  আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম।তার দুইদিন পর  প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর  বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার পর গতকাল  কমিশনের অনুমতিক্রমে আজ তাদের বিরুদ্ধে জেরা দুদকের সহকারী পরিচালক মো সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে  দুদক আইন সহ আরো ৩ টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নথি পত্র জেলা বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
নিউজরুম
footer-area { background: #024f75; }

গোপালগঞ্জে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ইঞ্জি: ঠিকাদারের বিরুদ্ধে  দুদকের মামলা

প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী  উপজেলার ওড়াকান্দি  ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার  এইচবিবি সড়ক ও  খালের উপর তিনটি ব্রিজ নির্মান কাজ সম্পন্ন না করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । 

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক ও খালের উপর তিনটি ব্রিজ নির্মান কাজ সম্পন্ন না করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

সোমবার ১৩ জানুয়ারি সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো.  সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার নথি পাঠানো হয় বিশেষ জেলা জজ আদালতে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার ১৩ জানুয়ারি সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন

মামলায় আসামীরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারীর প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও মেসার্স হাবীব এন্ড কোং এর স্বত্বাধিকারী ও প্রকল্পের ঠিকাদার হাবিবুর রহমান।

জানা গেছে, ২০১৪ – ১৫ অর্থবছরে কাশিয়ানী  উপজেলার ওড়াকান্দি  ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার  এইচবিবি সড়ক ও  খালের উপর তিনটি ব্রিজ নির্মান কাজ হাতে নেয় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ। প্রতিটি ব্রিজে ১২ মিটার করে সংযোগ সড়ক থাকার কথা থাকলেও ব্রিজটির সংযোগ সড়ক  না করে প্রকল্প থেকে  ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার ।

আরও পড়ুনঃ গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক নারীর
ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৯ বছর ধরে জনগণ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। মই বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে । গত বছরের ১৭ আগস্ট ধানের বস্তা মাথায় নিয়ে মাইজকান্দি পশ্চিম পাড়া ব্রীজ পার হচ্ছিল স্থানীয় দিনমজুর মুরাদ আলী। এসময় সেতু থেকে পা পিছলে পড়ে যায় তিনি। পড়ে  তিনবার অপারেশন করার পর তার বাম পা কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। তার ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৯ বছর ধরে জনগণ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয় টি আমালে নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা পরিষদ অভিযান চালানো হয়।অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪০৯ /৪২০/১০৯ সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুনঃ গোপালগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে থানা থেকে পালালো আসামী, ২ পুলিশ বরখাস্ত

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন , কিছুদিন আগে  আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম।তার দুইদিন পর  প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর  বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার পর গতকাল  কমিশনের অনুমতিক্রমে আজ তাদের বিরুদ্ধে জেরা দুদকের সহকারী পরিচালক মো সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে  দুদক আইন সহ আরো ৩ টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নথি পত্র জেলা বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
নিউজরুম