গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে আপন ভাইকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ছলেমান শেখ নামে এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ছলেমান শেখের ছেলে হাইকোর্টে চাকুরী করার সুবাদে সেই প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই গোলাম রসুল।
অভিযুক্ত ছলেমান শেখ মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচা গ্রামের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী গোলাম রসুলের আপন ভাই।
ভুক্তভোগী গোলাম রসুল গণমাধ্যম কে বলেন, আমরা-১১ ভাই-বোন। আমাদের এই ভাই ছলেমান শেখ আমাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন বাবা-মা থাকাকালিন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পরে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে মামলা দেওয়া শুরু করে। প্রথম জমির মামলা দেয়।সেই মামলা আদলতে খারিজ হয়। পরবর্তীতে টাকার মামলা ভূয়া জাল নিলাম তৈরি করে মামলা দেন। এই মামলায় জবাব দিলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। মামলাটি খারিজ হলে আমার ভাই ছলেমান আপিল করেন। উপরুক্ত সকল মামলায় বাদি ছলেমান পরাজিত হয়ে নতুন করে নাম জারির মামলা দাখিল করে; এটিও খারিজ হয়। পরে সে আপিল করলে তাও খারিজ হয়। পরবর্তীতে আমি গোলাম রসুল বাদি হয়ে ছলেমানের বিরুদ্ধে কাগজপত্র জাল করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করি। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সিআইডি কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সামাদ ছলেমান শেখের সাথে যোগসাজস করে ফরিদপুরের সুচিবহির কাগজ জাল করে ছলেমানের পক্ষে প্রতিবেদন দেয়। অফিস কপির সাথে তাদের এই কাগজের কোন মিল না থাকায় ম্যাজিস্ট্রেট বাদির নারাজি গ্রহন করে পূনরায় এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেয়। মামলায় বর্তমানে তদন্ত চলিতেছে। ফারিদপুরের রেকর্ড রুমে সুচিবহির তল্লাসী চলিতেছে। এমতাবস্থায় ছলেমান শেখের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (বাবু) ও শাহাদাত হোসেন হাইকোর্টে চাকারি করে। বড় আফিসারের দ্বারা ফোন করিয়ে তাদের পক্ষে রিপোর্ট দিতে চাপ প্রয়োগ করে ও মোবাইলে সুচি বহির ছবি দেখিয়ে তাদের পক্ষে রিপোর্ট প্রদান করার জন্য রেকর্ড কিপারকে বলে আসছে। আমরা সঠিক তদন্ত দাবি করছি।