বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র–জনতার গণহত্যার বিচারে তিন বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।এবিষয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রয়াত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।
পোস্টে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জুড়ে দিয়ে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ইজ রেডি। এবার আসো খেলা হবে!’| এই দিনটির দেখার জন্য মহান রবের দরবারে অজস্রবার চোখের পানি ফেলেছি। এখন স্বপ্ন পূরণে এই তো– আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাসুদ সাঈদী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্ট দেন।
এ সময় তিনি তার ফেসবুকে আরও লেখেন , ‘খুনি হাসিনার বানানো আইনে আর তারই বানানো ট্রাইব্যুনালে হাসিনা আর তার দোসরদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই জন বিচারক ট্রাইব্যুনালে কাজ করবেন। ট্রাইব্যুনাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ দেয়া হলো।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র–জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
নিউরুম / এজেএ