০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ইলিশ প্রজনন রক্ষার অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৭২ জেলে

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ২১ দিনে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ৩৭২ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে নৌ পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৭২ জেলে এবং টাস্কফোর্সের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ২০০ জেলে।

আজ শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা ও চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ. এম. ইকবাল।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২১ দিন জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় দিন ও রাতে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ৬০২টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ২০০ জেলে। তাঁদের মধ্যে ১৫৮ জেলেকে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন এবং ৪২ জেলেকে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ছাড়া পরিদর্শন করা হয় ১৮ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ৩৩৪ মাছঘাট, ১ হাজার ৮৯২ মৎস্য আড়ত ও ৬৪১ মাছ বাজার। জব্দ করা হয় ২ দশমিক ৭৩১ টন ইলিশ, সাড়ে ১৭ লাখ মিটার কারেন্টজাল, এসব ঘটনায় মামলা হয় ২৩৯টি।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম ইকবাল বলেন, টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় নৌ পুলিশ গত ২১ দিনে ১৭২ জেলে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ১১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। এ ছাড়া ১৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ গণভবনে থাকবে আয়নাঘর–এর রেপ্লিকা

ওসি ইকবাল আরও বলেন, অভিযানে জব্দ হয় ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্টজাল, ৬ হাজার ৩২৬ কেজি ইলিশ ও ৪৯টি মাছ ধরার নৌকা। এর মধ্যে ৭টি নৌকা থানা হেফাজতে, ২৭টি নৌকা ঘটনাস্থলে অকার্যকর এবং ১৫টি মৎস্য বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়।

গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ইলিশসহ সবধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবারও ইলিশ আহরণে নামবে জেলার অর্ধলক্ষাধিক জেলে।

নিউজ রুম / এমবি  

footer-area { background: #024f75; }

ইলিশ প্রজনন রক্ষার অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৭২ জেলে

প্রকাশিত : শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ২১ দিনে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ৩৭২ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে নৌ পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৭২ জেলে এবং টাস্কফোর্সের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ২০০ জেলে।

আজ শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা ও চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ. এম. ইকবাল।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২১ দিন জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় দিন ও রাতে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ৬০২টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ২০০ জেলে। তাঁদের মধ্যে ১৫৮ জেলেকে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন এবং ৪২ জেলেকে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ছাড়া পরিদর্শন করা হয় ১৮ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ৩৩৪ মাছঘাট, ১ হাজার ৮৯২ মৎস্য আড়ত ও ৬৪১ মাছ বাজার। জব্দ করা হয় ২ দশমিক ৭৩১ টন ইলিশ, সাড়ে ১৭ লাখ মিটার কারেন্টজাল, এসব ঘটনায় মামলা হয় ২৩৯টি।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম ইকবাল বলেন, টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় নৌ পুলিশ গত ২১ দিনে ১৭২ জেলে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ১১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। এ ছাড়া ১৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ গণভবনে থাকবে আয়নাঘর–এর রেপ্লিকা

ওসি ইকবাল আরও বলেন, অভিযানে জব্দ হয় ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্টজাল, ৬ হাজার ৩২৬ কেজি ইলিশ ও ৪৯টি মাছ ধরার নৌকা। এর মধ্যে ৭টি নৌকা থানা হেফাজতে, ২৭টি নৌকা ঘটনাস্থলে অকার্যকর এবং ১৫টি মৎস্য বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়।

গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ইলিশসহ সবধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবারও ইলিশ আহরণে নামবে জেলার অর্ধলক্ষাধিক জেলে।

নিউজ রুম / এমবি