হাবের সদ্যঃসাবেক কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদার ঘোষিত এই প্যাকেজে খাবার খরচ যুক্ত করে ব্যয় ধরা হয়েছে সাধারণ প্যাকেজে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার এবং বিশেষ প্যাকেজে ছয় লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাবেক মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা ও হাবের সাবেক সহসভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, জামায়াতের মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন সাইদ, কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল প্রমুখ।
হাবের সাবেক মহাসচিব বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে এ বছর হজের খরচ কমেনি। গত বছরের তুলনায় এবার হজের খরচ বেড়েছে। হজে খরচ মূলত কমানো সম্ভব দুটি জায়গায়—একটি বিমানভাড়া, আরেকটি সৌদি অংশের খরচ। দুটি জায়গার মধ্যে এবার বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এবার ধর্ম মন্ত্রণালয় সেবার মান কমিয়ে হজ প্যাকেজ মূল্য কম দেখানোর চেষ্টা করেছে। এটি হজযাত্রীদের বিভ্রান্ত করছে। এ ছাড়া এবারের প্যাকেজ খাওয়া খরচ ছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে।’
হাজিদের ভোগান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে ফরিদ আহমেদ মজুমদার আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব হজযাত্রী হজে যান তাঁদের বয়স বেশি থাকে। এবার প্যাকেজ অনুযায়ী হারাম শরিফ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাড়ি হওয়ায় তাঁদের ভোগান্তি হবে। মিসফালাহ ব্রিজের কাছে তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হবে, তাঁদের এখান থেকে হারাম শরিফ গিয়ে নামাজ পড়ে বাসে উঠে আবার গন্তব্যে যেতে হবে। এটা অনেক কঠিন বিষয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে গাইডসহ ১০ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি এক লাখ ১৭ হাজার হজযাত্রী যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
নিউজ রুম/এমবি