১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন থেকে বৈশ্বিক ক্ষতি ২ ট্রিলিয়ন ডলার

আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন থেকে বৈশ্বিক ক্ষতি ২ ট্রিলিয়ন ডলার

বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে জলবায়ু এবং আবহাওয়া এখন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য প্রভাবকের পাশাপাশি উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়া সামাল দেয়ার পদক্ষেপকে রাখতে হচ্ছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়। এর কারণ হিসেবে সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান সামনে আনা যায়। যেখানে বলা হয়েছে, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ২ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।

গতকাল আজারবাইজানে শুরু হয়েছে কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন। যেখানকার কূটনৈতিক উত্তেজনা নিঃসন্দেহে আর্থিক খাতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে গড়াবে। তেমন সময় প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।

আরও পড়ুনঃ টুঙ্গিপাড়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ৯ ব্যবসায়ীকে ১৯ হাজার জরিমানা

চরম আবহাওয়া সম্পর্কিত চার হাজার ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এমন ঝড়ো বৃষ্টি যা মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায় অথবা কয়েক বছর ধরে চলা খরার কারণে ধীরে ধীরে কৃষি খামার ধ্বংস হওয়ার মতো পরিস্থিতি। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত দুই বছরেই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে।

শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আর্থিক দুর্ভোগ নয়, এ পরিসংখ্যানে চরম আবহাওয়ার পুরো খরচ তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। এ চরম আবহাওয়ায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তুলনায় দরিদ্র অঞ্চলগুলো বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশের হিস্যা তুলনায় কম। কপ২৯ সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে পুনর্গঠন, উষ্ণায়নের সঙ্গে অভিযোজন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ক্ষতির মোকাবেলা করতে ধনী দেশগুলো কতটা অর্থ দেবে তা নিয়ে দরকষাকষি।

এ প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)। সংস্থাটির মহাসচিব জন ডেন্টন বলেন, ‘গত দশকের তথ্য-উপাত্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তন শুধু ভবিষ্যতের সমস্যা নয়। চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা মূল উৎপাদন খাতের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা এখন বিদ্যমান অর্থনীতিতে অনুভূত হচ্ছে।’

২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে ক্ষতি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে দেখা যায়, গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এর পরিমাণ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এরপর চীন ও ভারত যথাক্রমে ২৬ হাজার ৮০০ ও ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে। এছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ব্রাজিল। তবে ব্যক্তিপ্রতি ক্ষতির হিসাবে এগিয়ে রয়েছে সেন্ট মার্টিন ও বাহামাসের মতো ছোট দ্বীপ দেশগুলো।

একদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্প্রসারণ হয়েছে, অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানুষের বসবাস বেড়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহারে দাবানল, ঝড়-বন্যা, তাপপ্রবাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে এবং সরকারগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয় আকস্মিকভাবে না ঘটেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোর আগে বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করতে পারছিলেন না যে মানুষ কীভাবে এ চরম আবহাওয়াকে প্রভাবিত করছে।

গত মাসে প্রকাশিত আরেক গবেষণা অনুসারে, ২০২২ সালের গ্রীষ্মে ইউরোপে ৬৮ হাজার তাপজনিত মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী ছিল জলবায়ু পরিবর্তন। সেপ্টেম্বরে মধ্য ইউরোপে আঘাত হানা ভারি বৃষ্টির আশঙ্কাও দ্বিগুণ করার পেছনে রয়েছে একই কারণ।

চরম আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করেছিলেন ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির দুর্যোগবিষয়ক অর্থনীতিবিদ ইলান নোয়ি। আইসিসির গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিবেদনটির পরিসংখ্যান তার আগের গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। কারণ এর ভিত্তি ডাটা চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের পুরোপুরি চিত্র উপস্থাপন করছে না। তিনি বলেন, ‘মূল সতর্কতা হচ্ছে আসলেই অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এমন দরিদ্র সম্প্রদায় ও দেশগুলোর ওপর চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার প্রভাব এ পরিসংখ্যানগুলো ধরতে পারেনি।’

নোয়ি গত বছর তার গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম আবহাওয়ার ক্ষতি হিসাব করেছিলেন। যেখানে দেখা যায়, এ কারণে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। মূলত মানুষের জীবনহানির কারণে এ ক্ষতি হয়। তবে এতে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাব ছিল। বিশেষ করে আফ্রিকার পরিস্থিতির অল্প অংশ এতে উঠে আসে।

অর্থনীতিবিদ ইলান নোয়ি বলেন, ‘এসব গবেষণায় উচ্চ আয়ের দেশে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা বেশি হিসাব করা হচ্ছে। সেখানে সম্পদের মূল্য অনেক বেশি এবং তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুহারও অনেক বেশি। এটা স্পষ্ট যে একটি দরিদ্র দেশ বা দরিদ্র সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং জীবিকা হারানোর ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদে আরো বিধ্বংসী। কারণ ধনী দেশগুলোর সরকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম ও আগ্রহী।’

প্রতিবেদনে বিশ্বনেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি। এতে বলা হয়, এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে দূষণ হ্রাস ও চরম আবহাওয়া প্রতিরোধী টেকসই উন্নয়নে দরিদ্র দেশগুলোয় অর্থ পৌঁছানো যায়।

আইসিসির মহাসচিব জন ডেন্টনের মতে, উন্নয়নশীল বিশ্বে জলবায়ু কর্মসূচিতে অর্থায়নকে দান হিসেবে দেখার দরকার নেই। কারণ এ ধরনের অর্থায়নের প্রতিটি ডলার শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী ও আরো স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বিনিয়োগ, যার সুফল ধনী দেশগুলোও পায়।

 

নিউজ রুম/ইজেএ

footer-area { background: #024f75; }

আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন থেকে বৈশ্বিক ক্ষতি ২ ট্রিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে জলবায়ু এবং আবহাওয়া এখন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য প্রভাবকের পাশাপাশি উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়া সামাল দেয়ার পদক্ষেপকে রাখতে হচ্ছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়। এর কারণ হিসেবে সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান সামনে আনা যায়। যেখানে বলা হয়েছে, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ২ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।

গতকাল আজারবাইজানে শুরু হয়েছে কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন। যেখানকার কূটনৈতিক উত্তেজনা নিঃসন্দেহে আর্থিক খাতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে গড়াবে। তেমন সময় প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।

আরও পড়ুনঃ টুঙ্গিপাড়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ৯ ব্যবসায়ীকে ১৯ হাজার জরিমানা

চরম আবহাওয়া সম্পর্কিত চার হাজার ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এমন ঝড়ো বৃষ্টি যা মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায় অথবা কয়েক বছর ধরে চলা খরার কারণে ধীরে ধীরে কৃষি খামার ধ্বংস হওয়ার মতো পরিস্থিতি। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত দুই বছরেই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে।

শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আর্থিক দুর্ভোগ নয়, এ পরিসংখ্যানে চরম আবহাওয়ার পুরো খরচ তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। এ চরম আবহাওয়ায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তুলনায় দরিদ্র অঞ্চলগুলো বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশের হিস্যা তুলনায় কম। কপ২৯ সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে পুনর্গঠন, উষ্ণায়নের সঙ্গে অভিযোজন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ক্ষতির মোকাবেলা করতে ধনী দেশগুলো কতটা অর্থ দেবে তা নিয়ে দরকষাকষি।

এ প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)। সংস্থাটির মহাসচিব জন ডেন্টন বলেন, ‘গত দশকের তথ্য-উপাত্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তন শুধু ভবিষ্যতের সমস্যা নয়। চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা মূল উৎপাদন খাতের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা এখন বিদ্যমান অর্থনীতিতে অনুভূত হচ্ছে।’

২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে ক্ষতি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে দেখা যায়, গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এর পরিমাণ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এরপর চীন ও ভারত যথাক্রমে ২৬ হাজার ৮০০ ও ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে। এছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ব্রাজিল। তবে ব্যক্তিপ্রতি ক্ষতির হিসাবে এগিয়ে রয়েছে সেন্ট মার্টিন ও বাহামাসের মতো ছোট দ্বীপ দেশগুলো।

একদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্প্রসারণ হয়েছে, অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানুষের বসবাস বেড়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহারে দাবানল, ঝড়-বন্যা, তাপপ্রবাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে এবং সরকারগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয় আকস্মিকভাবে না ঘটেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোর আগে বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করতে পারছিলেন না যে মানুষ কীভাবে এ চরম আবহাওয়াকে প্রভাবিত করছে।

গত মাসে প্রকাশিত আরেক গবেষণা অনুসারে, ২০২২ সালের গ্রীষ্মে ইউরোপে ৬৮ হাজার তাপজনিত মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী ছিল জলবায়ু পরিবর্তন। সেপ্টেম্বরে মধ্য ইউরোপে আঘাত হানা ভারি বৃষ্টির আশঙ্কাও দ্বিগুণ করার পেছনে রয়েছে একই কারণ।

চরম আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করেছিলেন ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির দুর্যোগবিষয়ক অর্থনীতিবিদ ইলান নোয়ি। আইসিসির গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিবেদনটির পরিসংখ্যান তার আগের গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। কারণ এর ভিত্তি ডাটা চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের পুরোপুরি চিত্র উপস্থাপন করছে না। তিনি বলেন, ‘মূল সতর্কতা হচ্ছে আসলেই অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এমন দরিদ্র সম্প্রদায় ও দেশগুলোর ওপর চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার প্রভাব এ পরিসংখ্যানগুলো ধরতে পারেনি।’

নোয়ি গত বছর তার গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম আবহাওয়ার ক্ষতি হিসাব করেছিলেন। যেখানে দেখা যায়, এ কারণে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। মূলত মানুষের জীবনহানির কারণে এ ক্ষতি হয়। তবে এতে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাব ছিল। বিশেষ করে আফ্রিকার পরিস্থিতির অল্প অংশ এতে উঠে আসে।

অর্থনীতিবিদ ইলান নোয়ি বলেন, ‘এসব গবেষণায় উচ্চ আয়ের দেশে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা বেশি হিসাব করা হচ্ছে। সেখানে সম্পদের মূল্য অনেক বেশি এবং তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুহারও অনেক বেশি। এটা স্পষ্ট যে একটি দরিদ্র দেশ বা দরিদ্র সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং জীবিকা হারানোর ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদে আরো বিধ্বংসী। কারণ ধনী দেশগুলোর সরকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম ও আগ্রহী।’

প্রতিবেদনে বিশ্বনেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি। এতে বলা হয়, এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে দূষণ হ্রাস ও চরম আবহাওয়া প্রতিরোধী টেকসই উন্নয়নে দরিদ্র দেশগুলোয় অর্থ পৌঁছানো যায়।

আইসিসির মহাসচিব জন ডেন্টনের মতে, উন্নয়নশীল বিশ্বে জলবায়ু কর্মসূচিতে অর্থায়নকে দান হিসেবে দেখার দরকার নেই। কারণ এ ধরনের অর্থায়নের প্রতিটি ডলার শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী ও আরো স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বিনিয়োগ, যার সুফল ধনী দেশগুলোও পায়।

 

নিউজ রুম/ইজেএ