১১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

শিশুদের ডায়াবেটিসের ধরন

অনেকেরই ধারণা ডায়াবেটিস মানেই বড়দের অসুখ। অথচ বড়দের মতো শিশুদের ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

অনেকেরই ধারণা ডায়াবেটিস মানেই বড়দের অসুখ। অথচ বড়দের মতো শিশুদের ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিস দেখা যায়। ডায়াবেটিস মেলাইটাসের সঙ্গে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস ও শিশুদের হয়ে থাকে। সব ধরনের ডায়াবেটিসের উপসর্গ কাছাকাছি হলেও চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন।

ডায়াবেটিস বলতে মূলত ডায়াবেটিস মেলাইটাসকে বোঝায়। মানুষের শরীরের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নির্গত হয়। কোনো কারণে এই হরমোন নির্গত না হলে (টাইপ-১) অথবা এই হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে (টাইপ-২) ডায়াবেটিস দেখা দেয়। এ ছাড়া কোনো কারণে শরীরে পানি ধরে রাখার হরমোন কমে গেলেও ডায়াবেটিস হয়, যাকে বলা হয় ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস।

শিশুদের  যে ধরনের ডায়াবেটিস হয়

নিওনেটাল ডায়াবেটিস : জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এই ডায়াবেটিস হয়। এটি জেনেটিক ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এটি সাময়িক হলেও অনেকাংশেই এটি স্থায়ী ডায়াবেটিসে রূপ নেয়।

বয়ঃসন্ধিকালের ডায়াবেটিস : এটি বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয়। নিওনেটাল ডায়াবেটিসের মতো এটিও জেনেটিক ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে এবং বংশগতভাবে এই ডায়াবেটিস হওয়ার ইতিহাস থাকে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস : ইনসুলিন উৎপাদন হলেও তার কার্যক্ষমতা না থাকার কারণে এই ডায়াবেটিস হয়। বড়দের মধ্যে এই ডায়াবেটিস হওয়ের প্রবণতা বেশি থাকলেও দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যেও এই ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস : এটিকে মূল ডায়াবেটিসের প্রকারভেদের মধ্যে ফেলা হয় না। শিশুদের মধ্যে এই ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। সাধারণত মস্তিষ্কের রোগ অথবা কিডনি রোগ থাকলে এটি হয়ে থাকে।

উপসর্গ

বারবার প্রস্রাবের বেগ আসা

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব করা বা বিছানা ভিজিয়ে ফেলা

ঘন ঘন পানি খাওয়া

মাত্রাতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া

শরীরের ঘা দেরিতে শুকানো

তলপেটে ব্যথা হওয়া

মজাজ খিটখিটে থাকা,

চোখে কম দেখতে পাওয়া

অনেক সময় টাইপ-১ ডায়াবেটিসে শিশু হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়, যেমন অতিরিক্ত অস্থিরতা শুরু করে, ঘন ঘন শ্বাস নেয়, শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে শিশুকে ভর্তি করে দিতে হয়।

চিকিৎসা

শিশুর ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে দ্রুত শিশু হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস হলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো নিয়ম করে ইনসুলিন নিতে হবে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে মুখে ওষুধ দিতে হবে। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় পরপর গ্লুকোজ পরীক্ষা করে চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে। অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে।

নিউজরুম/ইজেএ 

footer-area { background: #024f75; }

শিশুদের ডায়াবেটিসের ধরন

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

অনেকেরই ধারণা ডায়াবেটিস মানেই বড়দের অসুখ। অথচ বড়দের মতো শিশুদের ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিস দেখা যায়। ডায়াবেটিস মেলাইটাসের সঙ্গে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস ও শিশুদের হয়ে থাকে। সব ধরনের ডায়াবেটিসের উপসর্গ কাছাকাছি হলেও চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন।

ডায়াবেটিস বলতে মূলত ডায়াবেটিস মেলাইটাসকে বোঝায়। মানুষের শরীরের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নির্গত হয়। কোনো কারণে এই হরমোন নির্গত না হলে (টাইপ-১) অথবা এই হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে (টাইপ-২) ডায়াবেটিস দেখা দেয়। এ ছাড়া কোনো কারণে শরীরে পানি ধরে রাখার হরমোন কমে গেলেও ডায়াবেটিস হয়, যাকে বলা হয় ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস।

শিশুদের  যে ধরনের ডায়াবেটিস হয়

নিওনেটাল ডায়াবেটিস : জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এই ডায়াবেটিস হয়। এটি জেনেটিক ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এটি সাময়িক হলেও অনেকাংশেই এটি স্থায়ী ডায়াবেটিসে রূপ নেয়।

বয়ঃসন্ধিকালের ডায়াবেটিস : এটি বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয়। নিওনেটাল ডায়াবেটিসের মতো এটিও জেনেটিক ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে এবং বংশগতভাবে এই ডায়াবেটিস হওয়ার ইতিহাস থাকে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস : ইনসুলিন উৎপাদন হলেও তার কার্যক্ষমতা না থাকার কারণে এই ডায়াবেটিস হয়। বড়দের মধ্যে এই ডায়াবেটিস হওয়ের প্রবণতা বেশি থাকলেও দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যেও এই ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস : এটিকে মূল ডায়াবেটিসের প্রকারভেদের মধ্যে ফেলা হয় না। শিশুদের মধ্যে এই ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। সাধারণত মস্তিষ্কের রোগ অথবা কিডনি রোগ থাকলে এটি হয়ে থাকে।

উপসর্গ

বারবার প্রস্রাবের বেগ আসা

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব করা বা বিছানা ভিজিয়ে ফেলা

ঘন ঘন পানি খাওয়া

মাত্রাতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া

শরীরের ঘা দেরিতে শুকানো

তলপেটে ব্যথা হওয়া

মজাজ খিটখিটে থাকা,

চোখে কম দেখতে পাওয়া

অনেক সময় টাইপ-১ ডায়াবেটিসে শিশু হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়, যেমন অতিরিক্ত অস্থিরতা শুরু করে, ঘন ঘন শ্বাস নেয়, শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে শিশুকে ভর্তি করে দিতে হয়।

চিকিৎসা

শিশুর ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে দ্রুত শিশু হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস হলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো নিয়ম করে ইনসুলিন নিতে হবে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে মুখে ওষুধ দিতে হবে। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় পরপর গ্লুকোজ পরীক্ষা করে চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে। অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে।

নিউজরুম/ইজেএ