আদালতের রায় কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাবার বাড়িতে ফেরার সময় জোর করে জান্নাতী খানম (৭) নামে এক শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সয়ং শিশুটি’র মায়ের বিরুদ্ধে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বন্গ্রাম এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটি’র পিতা সাহিদ সিকাদার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০১৮ সালে ২৬ মার্চ সাহিদ সিকদার ও নিলা খানমের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় এর পরই তাদের কোল জুড়ে জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যা শিশু জান্নাতী, তবে জন্মের পর থেকে মায়ের চরম অবহেলা ও অনাদরে বেড়ে উঠতে থাকে জান্নাতী, কারণ তার মা নিলা খানম করেন টিকটক লিপ্ত একাধিক পরকিয়ায়। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি শুরু হলে । গ্রাম্য সালিশী’র মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ঐ দম্পতির। পরে মেয়েকে নিজের কাছে নেওয়ার জন্য সাহিদ সিকদার সহ তার পরিবারের লোকজনের নামে নিলা খানম বাদী হয়ে ২০২৪ সলে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ভিকটিম জান্নাতী’র দীর্ঘ সময় জবানবন্দী শেষে সে তার মায়ের কাছে যেতে অস্বীকার করায় বিজ্ঞ আদালত জান্নাতী’কে তার বাবা ও দাদা দাদীর কাছে থাকার রায় দিয়ে মামলা’টি খারিজ করে দেয়। এদিকে জান্নাতীকে জোর করে তুলে নেওয়ার পর সরোজমিনে গেলে প্রতিবেশী রফিক মুন্সি ও সুলতানা বেগম জানায়, সাহিদ সিকদারের স্ত্রী নীলা খানম টিকটক করে এবং মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় মারধর করে। এজন্যই সে তার মায়ের কাছে যেতে চায় না।
এ বিষয়ে শিশু জান্নাতী’র দাদী মমতাজ বেগম জানায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারী জানাতীকে নিয়ে আমি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমি এবং আমার নাতনি জান্নাতীকে নীলা খানম ও তার বাবা মা মিলে মুখ চেপে ধরে ইজি বাইকে তুলে নিয়ে যায় কিছু দুর যাওয়ার পরে আমাকে ইজি বাইক থেকে ধাক্কা দিয়ে জান্নাতীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। আমার পুত্রবধু নীলা অন্য পুরুষেদের সাথে সব সময় ফোনে কথা বলতো আর মেয়েটাকে মারধর করতো এনিয়েই পারিবারিক কলোহের জেরে আমার ছেলের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। জান্নাতী তার মায়ের কাছে নিরাপদ নয়।
নিউজরুম / আজকের গোপালগঞ্জ